উদ্যান জাতীয় ফসল

Tuesday, January 26, 2016

চীনাবাদাম



@পরিচিতি@
বাংলা নামঃ চীনাবাদাম
ইংরেজী নামঃ Ground nut
বৈজ্ঞানিক নামঃ Arachis hypogera
পরিবারঃ Fabaceae (Leguminosae)

চীনাবাদাম একটি অর্থকারী ফসল। এটি একটি উৎকৃষ্ট ভোজ্য তেলবীজ। বীজে ৪৮-৫০% তেল ২২-২৯% আমিষ রয়েছে। বাংলাদেশে প্রায় ৮০ হাজার হেক্টর জমিতে চীনাবাদাম চাষ করা হয়।

চীনাবাদামের মোট উৎপাদন প্রায় লক্ষ ২৫ হাজার মেট্রিক টন। উচ্চ ফলনশীল জাতের ব্যবহার উন্নত পদ্ধতিতে চাষাবাদের মাধ্যমে বাংলাদেশে চীনাবাদামের উৎপদন বাড়ানো সম্ভব।
@
জলবায়ু মাটি@
উষ্ণ অবউষ্ণ মন্ডলের আবহাওয়ায় চীনা বাদামের বৃদ্ধি ভাল হয়। হালকা বেলে দোঁআশ মাটি চীনা বাদাম চাষের জন্য সবচেয়ে উপযোগী।
@
চীনাবাদামের জাত @
বাংলাদেশের জাতগুলোর মধ্যে মাইজচর, বাসন্তী, ঝিংগা, ত্রিদানা, বিনা চীনাবাদাম-, বারি চীনা বাদাম- উল্লেখযোগ্য নিন্মে জাতগুলোর বিবরণ দেয়া হলো।
মাইজচর বাদাম (ঢাকা-)
প্রতি বাদামে - টি বীজ থাকে, বীজের রং লালচে বাদামী। বীজে তেলের পরিমাণ ৪৮% রবি খরিফ উভয় মৌসুমে চাষ যোগ্য। 
ফলনঃ রবি মৌসুমে প্রতি হেক্টরে .-. টন এবং খরিফ মৌসুমে .-. টন।
বাসন্তী বাদাম (ডিজি-)
প্রতি বাদামে - টি বীজ থাকে। বীজের আকার মধ্য লম্বাকৃতি এবং রং লালচে বাদামী। বীজে তেলের পরিমাণ ৪৮% রবি খরিফ উভয় মৌসুমে জাতটি চাষ করা যায়।
ফলনঃ রবি মৌসুমে প্রতি হেক্টরে .-. টন এবং খরিফ মৌসুমে প্রতি হেক্টরে .-. টন।
ঝিংগা বাদাম (এসিসি-১২)
প্রতি বাদামে - টি বীজ থাকে। বীজের উপরের খোসা বাদামী রঙের হয়। বীজের তেলের পরিমাণ ৪৯-৫০% জাতটি বেশ খরা সহনশীল।
ফলনঃ  হেক্টর প্রতি প্রায় .-. টন।
ত্রিদানা বাদাম (ডিএম-)
বীজের উপরের খোসা গাঢ় লাল এবং প্রতি বাদামে - টি বীজ থাকে। বীজে তেলের পরিমাণ ৪৯-৫০% জাতটি খরিপ মৌসুমে চাষ করা উত্তম। জাতটির বীজের সুপ্তি কাল নেই।
ফলনঃ হেক্টর প্রতি প্রায় .-. টন।
বিনা চীনা বাদাম-
বীজের খোসা লাল। বীজে তেলের পরিমাণ ৪৭% জাতটি টিক্কা মরিচা রোগ সহনশীল।
ফলনঃ রবিতে হেক্টর প্রতি প্রায় .-. টন এবং খরিফে .-. টন
বারি চীনাবাদাম-
প্রতি বাদামে বীজের সংখ্যা - টি।  বাদামের শিরা উপশিরা খুব স্পষ্ট, বীজের আকার বড়। বীজের সুপ্তিকাল ১০-১৫ দিন। বীজে তেলের পরিমাণ ২৫-২৭% রবি খরিফ উভয় মৌসুমে চাষ যোগ্য। 
ফলনঃ হেক্টরপ্রতি রবি মৌসুমে .৭০-.১০ টন এবং খরিফ মৌসুমে .-. টন।
বারি চীনাবাদাম -
বীজের রং হালকা বাদামি। বীজে তেলের পরিমাণ ৫০-৫২%
ফলনঃ হেক্টর প্রতি রবি মৌসুমে .-. টন এবং খরিফ মৌসুমে .-. টন।
@
জমি তৈরী@
জমির মাটি - টি চাষ ওমই দিয়ে ঝুরঝুরে করে নিতে হয়। ক্ষেতের চার পাশে নালার ব্যবস্থা করলে পরবর্তীতে সেচ দেওয়া এবং পানি নিকাশের সুবিধা হয়।
@
বপনের সময়@
রবি মৌসুমে অর্থ্যৎ কার্তিক মাসে (মধ্য-অক্টোবর থেকে মধ্য নভেম্বর) চাষ করলে ভাল ফলন পাওয়া যায়। মাইজচর বাদাম (ঢাকা-), বাসন্তীবাদাম (ডিজি-) ঝিঙ্গাবাদাম (এসিসি-১২) রবি খরিফ মৌসুমে চাষের জন্য অনুমোদিত হয়। ত্রিদানা বাদাম (ডিএম-) খরিফ- মৌসুমে চাষ করা উত্তম। খরিফ- মৌিসুমেও জাতের চাষ করা যায়।
@
বীজের হার@
জাত অনুযায়ী জীবের পরিমাণ নিচে উল্লেখ করা হলো
জাতের নাম জীরজের পরিমাণ/হেক্টর (খোসাসহ)
মাইজচর বাদাম (ঢাকা-) ৯৫-১০০ কেজি
ঝিঙ্গা বাদাম (এসিসি-১২) ১০৫-১১০ কেজি
বাসন্তী বাদাম (ডিজি-) ১০৫-১১০ কেজি
ত্রিদানা বাদাম (ডিএম-) ১০৫-১১০ কেজি
@
বপন পদ্ধতি@
বীজ সারিতে বুনলে সারির দূরত্ব ৩০ সেমি এবং প্রতি সারিতে গাছের দূরত্ব ১৫ সেমি রাখতে হয়। ত্রিদানা বাদাম (ডিএম-) জাতের ক্ষেত্রে সারির দূরত্ব ২৫ সেমি এবং সারিতে গাছের দূরত্ব ১০ সেমি রাখা প্রয়োজন। বীজ .-. সেমি মটির নিচে রোপন করতে হয়।
@
সারের পরিমাণ@
চীনাবাদামের জমিতে নিচে উল্লেখিত হারে সার ব্যবহার করলে ভাল ফলন পাওয়া যায়
সারের নাম সারের পরিমান/হেক্টর
ইউরিয়া ২০-৩০ কেজি
টিএসপি ১৫০-১৭০ কেজি
এমপি ৮০-৯০ কেজি
জিপসাম ১৬০-১৮০ কেজি
জিংক সালফেট - কেজি
বোরাক্স/বরিক এসিড -১১ কেজি

বারি চীনাবাদাম- চাষের জন্য নিম্নরুপ সার প্রয়োগ করলে ভাল ফলন পাওয়া যায়
সারের নাম হেক্টরপ্রতি (কেজি) একরপ্রতি (কেজি) বিঘাপ্রতি (কেজি)
ইউরিয়া ২৫ ১০ .
টিএসপি ১৬০ ৬৪ ১২
এমপি ৮৫ ৩৪ ১৬
জিপসাম ৩০০ ১২০ ৪০
জিংক সালফেট ১০ .
@
সার প্রয়োগ পদ্ধতি@
অর্ধেক ইউরিয়া এবং অন্যন্য সার বীজ বপনের পূর্বে শেষ চাষের সময় জমিতে প্রয়োগ করতে হবে। বাকি অর্ধেক ইউরিয়া বপনের ৪০-৪৫ দির পর গাছে ফুল আসার সময় প্রয়োগ করতে হবে। তবে প্রতি কেজি বীজে ৭০ গ্রাম অনুবীজ সার ব্যবহার করা যেতে পারে। অনুবীজ সার ব্যবহার করলে সাধারণত ইউরিয়া সার ব্যবহার করতে হয় না।
@
পানি সেচ@
খরিফ- মৌসুমে ফসলের অবস্থা বুঝে প্রয়োজনবোধে একটি সেচ দেওয়া যেতে পারে। চর এলাকায় সেচ দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। বরি মৌসুমে উঁচু জমিতে মাটির রস তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায় বলে - টি সেচ দেওয়া দরকার।
@
আন্তবর্তীকালীন পরিচর্যা@
বীজ বপনের ১৫-২০ দিন পর একবার নিড়ানি দিয়ে আগাছা পরিষ্কার করতে হবে। মাটি শক্ত হয়ে গেলে এবং ফুল আসার কসময় গাছের গোড়ায় মাটি তুলে দিতে হবে।
@
ফসল সংগ্রহ@
জাত মৌসুমভেদে চীনাবাদাম ১২০-১৫০ দিনের মধ্যে সংগ্রহ করা যায়।
@
অন্যান্য পরিচর্যা@
চীনাবাদামের উঁইপোকা দমন
উঁইপোকা দমন চীনাবাদাম গাছের এবং বাদামের যথেষ্ট ক্ষতি করে থাকে। এরা দলবদ্ধ বা কলোনী তৈরী করে বাদাম গাছের প্রধান শিকড় কেটে দেয় এবং শিকড়ের ভিতে গর্ত সৃষ্টি করে। ফলে গাছ মারা যায়। উইপোকা মাটির নিচের বাদামের খোসা ছিদ্র করে বীজ খায়।
প্রতিকার
পানির সাথে কেরোসিন মিশিয়ে সেচ দিলে উঁইপোকা জমি ত্যাগ করে।
২। পাট কাঠির ফাঁদ তৈরী করে পোকা কিছুটা দমন কর যায়। মাটির পাত্রে পাটে কাঠি ভর্তি করে পুঁতে রাখলে তাতে উঁইপোকা লাগে। তারপর কাঠি ভর্তি পাত্র তুলে উঁইপোকা মারতে হবে।
৩। আক্রান্ত মাঠে ডায়াজিনন-১০ জি বা বাসুডিন-১০ জি ডারসবান-১০ যথাক্রমে প্রতি হেক্টরে ১৫, ১৪  . কেজি হারে প্রয়োগ করতে হবে।
 
চীনাবাদামের পতার দাগ রোগ দমন
সারকোস্পরা এরচিডিকোলা ফেয়োইসারিওপসিস পারসোটো নামক দুটি ছত্রক দ্বারা রোগ সৃষ্টি হয়। রোগের আক্রমণের ফলে পাতার উপরে হলদে রেখা বেষ্টন বাদামি রংয়ের দাগের সৃষ্টি হয়। দাগ আকারে বড় হয় এবং পাতার উপরে ছড়িয়ে থাকে। গাছ দেরিতে আক্রান্ত হলে পাতার নিচে দাগ দেখা যায়। ক্ষেত্রে দাগ গাঢ় বাদমি হতে কালচে বর্ণের হয়। পাতার বাকি অংশের  সবুজ রং মলিন হয়ে যায় এবং ধীরে ধীরে পাতা ঝরে পড়ে।
প্রতিকার
১। বাসন্তী বাদাম (ডিজি-) জাত পাতার দাগ রোগ সহনশীল। জাতের চাষাবাদের মাধ্যমে রোগের আক্রমণ এড়ানো যায়।
২। রোগ দেখা দেওয়ার সাথে সাথে গাছে ব্যাভিস্টিন ৫০ ডিব্লিউপি গ্রাম হারে প্রতি লিটার পানির সাথে মিশিয়ে প্রতি ১২ দিন অন্তর - বার ছিটালে রোগের প্রকোপ কমে যায়। ক্ষেত্রে ডাইথেন এম-৪৫ পতি লিটার পানির সাথে গ্রাম হারে মিশিয়ে ব্যবহার করা যায়।
৩। ফসল কাটার পর আগাছা পুড়ে ফেলতে হবে।
চীনা বাদামের মরিচা রোগ দমন
পাকসিনিয়া এরাচিডিস নামক ছত্রাকের কারণে রোগ হয়ে থাকে। প্রাথমিক অবস্থায় পাতার পিঠে মরিচা পড়ার ন্যায় সামান্য উঁচু বিন্দুর মত দাগ দেখা যায়। দাগ ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে। আক্রমণের মাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে পাতার উপরের পিঠেও রোগ দেখা য্য়। গাছ রোগে ব্যাপকভাবে আক্রমন হলে চীনাবাদামের ফলন অনেক কম হয়।
প্রতিকার
১। ঝিঙ্গাবাদম জাত মরিচ  বা রাষ্ট রোগ প্রতিরোধী। জাতের চাষের মাধ্যমে রোগের আক্রামণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
২। রোগ দেখা দেওয়ার সাথে সাথে ক্যালিক্সিন (.%) বা টিল্টি-২৫০ ইসি .০৫% প্রতি লিটার পানির সাথে আধা মিলি হারে ১২ দিন অন্তর - বার সেপ্র করতে হবে।
৩। পূর্ববর্তী ফসল থেকে গজানো হাচ, আগাছা এবং নাড়া (খড়) পুড়ে ফেলে রোগের আক্রমণ কমানো যায়।
মিশ্র ফসলকাউন চাষ
প্রযুক্তি এলাকাঃ বরিশাল, কিশোরগঞ্জ অন্যান্য বাদাম উৎপাদন এলাকা।
চীনাবাদামের জাতঃ ত্রিদানা বাদাম
কাউনঃ তিতাস
জমি নির্বাচন তৈরীঃ মাঝরি উঁচু বেলে দোআঁশ মাটি ফসলের জন্য উপযুক্ত। মাটিতেজোথাকা আবস্থায় - টি চাষ দিতে হবে।
বপনের সময়ঃ ফাল্গুন মাস (মধ্য-ফেব্রুয়ারী থেকে মধ্য-মার্চ)
বীজের হারঃ
চীনাবাদামঃ ৯০-১১০ কেজি/হেক্টর (খোসাসহ
কাউনঃ কেজি/ হেক্টর (একক ফসলের শতকরা ২৫ ভগ)
বপন পদ্ধতিঃ চীনাবাদামের সারির দূরত্ব ২৫ সেমি এবং গাছের দূরত্ব ১০ সেমি। চীনাবাদাম বপন করার আগে কাউন বীজ ২৫% হিসেবে ছিটিয়ে বপন করতে হবে।
সারের পরিমাণঃ ইউরিয়াঃ ৭০-৮০ কেজি/হেক্টর
                                     
টিএসপিঃ ১০০-১২০ কেজি/হেক্টর
                                     
এমপিঃ   ৭০-৯০ কেজি/হেক্টর
সার প্রয়োগ পদ্ধতিঃ সকল সার জমি শেষ চাষের সময় মাটির সাথে মই দিয়ে মিশিয়ে দিতে হবে।
অন্যন্য পরিচর্যাঃ বপনের সময় রস না থাকলে হাল্কা একটি সেচ দিতে হবে। চারা গজানোর পর ২৫-৩০ দিন পর আগাছা দমন করতে হবে।
রোগ পোকা দমনঃ আক্রমণ দেখা দিলে অনুমোদিত মাত্রায় ঔষধ ব্যবহার করতে হবে।

ফসল কাটার সময়           
কাউনঃ জ্যৈষ্ঠ মাস (মধ্য-মে থেকে মধ্য জুন মাস)
চীনাবাদামঃ আষাঢ় মাস (মধ্য-জুন থেকে মধ্য-জুলাই মাস)
ফলন
চীনাবাদামঃ .-. টন/হেক্টর
কাউনঃ ৫০০-৭০০ টন/হেক্টর
পদ্ধতিতে চীনাবাদাম বপন করলে তেমন তারতম্য হয় না, তাই বাড়তি কাউন ফসল থেকে মুনাফা পাওয়া যায়।
আন্তঃফসলপেঁয়াজ চাষ
প্রযুক্তি এলাকাঃ চীনাবাদাম এলাকা
ফসলঃ চীনাবাদাম+ পেঁয়াজ
জাত চীনাবাদামঃ ঢাকা-/বরি চীনাবাদাম- বারি চীনাবাদাম-
পেঁয়াজঃ স্থানীয়
জমি মাটিঃ নদীর চর অঞ্চল, মাঝরি উঁচু জমি। বেলে দোআঁশ মাটি।
বপনের সময়ঃ অগ্রহায়ণ থেকে মধ্য-পৌষ (মধ্য নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর)
বপন পদ্ধতিঃ চীনাবাদামের সারি থেকে সরির দূরত্ব ৪০ সেমি এবং গাছ থেকে গাছেলর দূরত্ব ১৫ সেমি। পেঁয়াজের সারি থেকে সারির দূরত্ব ১৫ সেমি এবং গাছ থেকে গাছের দূরত্ব ১০ সেমি।
বীজের হার/হেক্টর
সারের পরিমাণ
সারের নাম সারের পরিমান/হেক্টর
ইউরিয়া ১০০-১১০  কেজি
টিএসপি ১৫৫-১৬৫  কেজি
এমপি ১৯০-২১০ কেজি
জিপসাম ১৬৫-১৭৫ কেজি
জিংক সালফেট (প্রয়োজনবোধে) - কেজি
বরিক এসিড (প্রয়োজনবোধে) -১১ কেজি
সার প্রয়োগ পদ্ধতি
৬৫ কেজি ইউরিয়া অন্যান্য সবগুলো সার জমি শেষ চাষের সময় প্রয়োগ করতে হবে। বাকি ৪০ কেজি ইউরিয়া সার দুই কিস্তিতে শুধু মাত্র দুই সারির পেঁযাজের মাঝে ছিটিয়ে প্রয়োগ করতে হবে।
অন্যান্য পরিচর্যা
আগাছা মুক্ত রাখার জন্য মাসের মধ্য বার নিড়ানী দিত হবে। প্রয়োজনবোধে সেচ প্রয়োগ করতে হবে।
ফসল তোলার সময়
পেঁয়াজঃ মধ্য (চৈত্র থেকে মধ্য-বৈশাখ (এপ্রিল)
চীনাবাদামঃ মধ্য-জ্যৈষ্ঠ থেকে মধ্য-আষাঢ় (মে)
ফলন
পেঁয়াজঃ ৩২৩০-৩৫০০ কেজি/হেক্টর
চীনাবাদামঃ ১৫৫০-১৬০০ কেজি/হেক্টর
আন্তঃফসলরসুন চাষ
প্রযুক্তি এলাকাঃ                 চীনাবাদাম এলাকা
ফসলঃ                            চীনাবাদাম+ রসুন
জাত চীনাবাদামঃ               ঢাকা-/,বরি চীনাবাদাম- বারি চীনাবাদাম-
পেঁয়াজঃ                          স্থানীয়
জমি মাটিঃ                    নদীর চর অঞ্চল, মাঝরি উঁচু জমি। বেলে দোআঁশ মাটি।
বপনের সময়ঃ                   অগ্রহায়ণ থেকে মধ্য-পৌষ (মধ্য নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর)


বপনের দূরত্ব
চীনাবাদামঃ                       চীনাবাদামের সারি থেকে সরির দূরত্ব ৪০ সেমি এবং গাছ থেকে গাছেলর দূরত্ব ১৫ সেমি।
রসুনঃ                             সারি থেকে সারির দূরত্ব ১৫ সেমি এবং গাছ থেকে গাছের দূরত্ব সেমি।
বীজের হার/হেক্টর
চীনাবাদামঃ                      ১১০ কেজি
রসুনঃ                             ৫০০ কেজি (আস্ত)
সারের পরিমাণ
সারের নাম সারের পরিমান/হেক্টর
ইউরিয়া ১০০-১১০  কেজি
টিএসপি ১৫৫-১৬৫  কেজি
এমপি ১৯০-২১০ কেজি
জিপসাম ১৬৫-১৭৫ কেজি
জিংক সালফেট (প্রয়োজনবোধে) - কেজি
বরিক এসিড (প্রয়োজনবোধে) -১১ কেজি
সার প্রয়োগ পদ্ধতি
৬০ কেজি ইউরিয়া অন্যান্য সবগুলো সার জমি শেষ চাষের সময় প্রয়োগ করতে হবে। বাকি ৪০-৪৫ কেজি ইউরিয়া সার দুই কিস্তিতে শুধু মাত্র দুই সারির পেঁযাজের মাঝে ছিটিয়ে প্রয়োগ করতে হবে।
অন্যান্য পরিচর্যা
আগাছা মুক্ত রাখার জন্য মাসের মধ্য বার নিড়ানী দিত হবে। প্রয়োজনবোধে সেচ প্রয়োগ করতে হবে।
ফসল তোলার সময়
রসুনঃ                 মধ্য (চৈত্র থেকে মধ্য-বৈশাখ (এপ্রিল)
চীনাবাদামঃ          মধ্য-জ্যৈষ্ঠ থেকে মধ্য-আষাঢ় (মে)
ফলন
রসুনঃ                 ২১০০-২৩০০ কেজি/হেক্টর
চীনাবাদামঃ          ১৬০০-১৭০০ কেজি/হেক্টর

No comments:

Post a Comment