@ পরিচিতি @
বাংলা নামঃ তেজপাতা
ইংরেজীঃ Tejpat
বৈজ্ঞানিক নামঃ Cinnamomum tamala
পরিবারঃ Lauraceae
আমাদের দেশে তেজপাতা মসলা হিসাবে খুবই গুরুত্বপূর্ন। এর তৈল সুগন্ধিযুক্ত। বাংলাদেশে উৎপাদিত তেজপাতার বেশির ভাগই মশলা হিসাবে ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও তেজপাতা সুগন্ধি তৈরিতে, কাশ্মীরে পানের বিকল্প হিসাবে এবং আয়ুর্বেদিক ওষুধ প্রস্তুতিতে বহুল পরিমাণে ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশের প্রায় সব অঞ্চলেই কমবেশী তেজপাতার চাষ হয়, তবে সিলেট, চট্টগ্রামসহ পাহাড়ী অঞ্চলগুলোতে এর চাষ ভাল হয়।
@ পুষ্টিমান @
শর্করাঃ ৬.৯-৩২.০%,
প্রোটিনঃ৩.১-৩.৪%,
ফাইবারঃ ১২-২৮%,
পানিঃ ৬.৫-১৯.৯% ও
উদ্বায়ী তেলঃ ১.০-৫.১%
@ জাত @
স্থানীয় উন্নত জাত।
@ জলবায়ু @
প্রায় সব ধরনের মাটি ও আবহাওয়ায় তেজপাতা জন্মাতে পারে, তবে সুনিষ্কাশিত গভীর বেলে দোআঁশ ও দোআঁশ তেজপাতা চাষের জন্য আদর্শ। তবে জমির প্রকৃতি অবশ্যই উঁচু হতে হবে। এটি একটানা খরা সহ্য করতে পারে না।
@ চারার পরিমাণ ও বোনার সময় @
চারার পরিমাণঃ
একর প্রতি ৩০০টি চারা লাগাতে হয়।
চারা বোনার সময়ঃ
বৈশাখ-আষাঢ় মাস তেজপাতা চারা বপনের উপযুক্ত সময়।
@ চারা রোপন ও সার প্রয়োগ @
চারা রোপন ( Planting)
বিকেলের দিকে সতেজ ও পুষ্ট চারা লাগাতে হবে। মাদার দূরত্ব-৬ মিটার, মাদার চওড়া ও গভীরতা- ৬০ সেমি.। লাগানোর পর চারার গোড়ার মাটি অল্প চেপে দিতে হবে। কোন চারা মরে গেলে সেই জায়গায় নতুন চারা লাগিয়ে দিতে হবে।
সার প্রয়োগ ( Manuring)
প্রতি বছর গাছ প্রতি গোবর ৫০ কেজি, ইউরিয়া ১৫০ গ্রাম, টিএসপি ১৫০ গ্রাম, এমপি ১০০ গ্রাম দিতে হবে। রোপনের সময় প্রতি মাদায় ১০ কেজি ছাই ও ১০০ গ্রাম টিএসপি দিলে ভাল
@ ফসল তোলা @
চারা লাগানোর ৪/৫ বৎসর পর থেকে প্রত্যক শীতকালে পাতা সংগ্রহ করা যায় এবং ১টি গাছ থেকে ১০০ বছর বয়স পর্যন্ত পাতা সংগ্রহ করা যেতে পারে। স্বাস্থ্যবান ও কম বয়সী গাছ থেকে প্রত্যেক বছর পাতা সংগ্রহ করা গেলেও রুগ্ন ও বেশী বসয়ী গাছ থেকে ১ বছর অন্তর পাতা সংগ্রহ করা উচিত। বৃষ্টিতে পাতার সুগন্ধ নষ্ট হয়ে যায় বিধায় অক্টোবর-মার্চ মাস পর্যন্ত পাতা সংগ্রহ করা হয়ে থাক। গাছ থেকে পাতা তোলার পর ৫-৭ দিন ছায়াতে শুকিয়ে নিয়ে বিক্রয়ের জন্য বস্তায় ভরা হয়।
@ ফলন @
প্রতি একরে ৩০০-৪০০ কেজি শুকনা পাতা অথবা ২০-২৫ কেজি তৈল পাওয়া যায়।
No comments:
Post a Comment